নাম : কেচকি মাছের শুটকি ।
মান : লবণ ছাড়া এবং পরিষ্কার।
দাম : ৫৬০ টাকা কেজি। কোয়ালিটি অনুযায়ী দাম ।
বিস্তারিত : মানের দিক থেকে অনেক ভালো এবং লবণ ছাড়া। বিন্দু পরিমান বালি হবে না । শুটকির সাইজ ১ ইঞ্চি । যে রকম দেখানো হচ্ছে ঠিক তেমনি পাবেন।
বৈশিষ্ট্য:-
আমাদের শুটকি প্রচলিত বাজারের শুটকির চেয়ে অপেক্ষাকৃত উজ্জ্বল ও বেশী চকচকে।
বাজারের শুটকিতে প্রকট শুঁটকির গন্ধ থাকে অনেকক্ষেত্রে সেটা পচাঁ ও বিষের গন্ধ। আর আমাদের শুটকিতে ফ্যাটি এসিড ভাঙ্গালে গ্রিসারিন হয় এবং গ্লিসারিন স্বাদ ও গন্ধ মিষ্টি হওয়ায় পচাঁ মাছের গন্ধ থাকে না।
বাজারের শুটকি অপেক্ষাকৃত কম শুকানো হয় বেশী লাভের আশায় যাতে করে শুটকির পরিমাণ ওজনে কম হয়। আর আমাদের শুটকি অপেক্ষাকৃত বেশী শুকানো হয় বলে ওজনে হালকা হয় বলে বাজারের শুটকির ৩ গুন বেশী শুটকি ধরে।
বাজারের শুটকিতে সাধারণত প্রসেসিংএর সময় নাড়িঁভুড়ি ও আইশ ফেলা হয় না। কিন্তু আমরা শুটকির করার আগেই কাচাঁ মাছের থেকে নাড়িঁভুড়ি ও আইশ নিয়ে ফেলি।
বাজারের শুটকি প্রসেসিংএর সময় ভাল ভাবে ধুয়া হয়না। যার কারণে রান্নার সময় অনেক সময় গরম পানিতে ধুয়ার পরও ধুলাবাল থাকে যা শুটকির তৈল বা চর্বির উপর ধুলাবালি পড়লে সাবান ও ডিটারজেন্ট ছাড়া যায় না। কিন্তু আমাদের শুটকির তৈরী করি তাজা মাছ দিয়ে। যাতে করে শুটকির চামরা মসৃন থাকে। এবং গরম পানিতে ধোয়ার প্রয়োজন নেই কারণ আমরা প্রসেসিং এমন ভাবে করি যাতে ধুলাবালি ও বিষ থাকেনা।
বাজারের শুটকিতে অধিক লাভের আশায় অনেক বেশী পরিমাণে লবন ব্যবহারের ফলে বেশী লবন ভাব থাকে। কিন্তু আমরা লবন ব্যবহার করি না। তায় ওজনে হালকা হয় স্বাদও ভাল থাকে।
বাজারের শুটকিতে মাছের উপর মাছি না বসার জন্য এবং পরবর্তিতে মাছে পোকা আকৃমণ ঠেকানোর জন্য কৃষিজ কীটনাশক (এন্ডো সালফার) ও ডিডিটি ব্যবহার করা হয়। যা মানুষের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতি বয়ে আনে। কিন্তু আমাদের সেলুলয়েড ও নেট দ্বারা আবৃত স্থানে শুকানো হয় বলে কোন প্রকার মাছি, পোকা ও ধুলাবালি মাছের উপর বসতে পারে না বলে বিষাক্ত কৃষিজ কীটনাশক ও ডিডিটি ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না।
বাজারের শুটকির আদ্রতার পরিমাণ অনেক বেশী প্রায় 30-40%, কিন্তু আমাদের শুটকির আদ্রতা 10-15%
বাজারের শুটকিতে তৈল ও চর্বির পরিমাণ 10-15%, আমাদের শুটকিতে তৈল ও চর্বির পরিমাণ 5-8%
শুঁটকি মাছে যেসব পুষ্টি উপাদান থাকে
প্রোটিন: আমরা জানি দেহের গঠন, ক্ষয়পূরণসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য প্রোটিন একটি অপরিহার্য পুষ্টি উপাদান। শুঁটকি মাছ উচ্চমানের প্রোটিনের ভালো উৎস। এতে প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ প্রোটিন পাওয়া যায়। শুঁটকি মাছের প্রোটিনে যে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে, তা প্রায় ডিমের অ্যামিনো অ্যাসিডের সঙ্গে তুলনীয়।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট: শুঁটকি মাছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, যা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
সোডিয়াম: এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এ ছাড়া নার্ভ ও মাংসপেশির সঠিক কার্যক্রমের জন্য সহায়তা করে।
পটাশিয়াম: এটি দেহের জন্য অপরিহার্য উপাদান। পটাশিয়াম দেহে পানির সমতা বজায় রাখে। সেই সঙ্গে আমাদের স্নায়ুতন্ত্র, মাংসপেশি ও হৃৎপিণ্ডের সুষ্ঠু কার্যক্রমের জন্য এটি প্রয়োজনীয়।
ফসফরাস: আমাদের হাড়, দাঁত ও ডিএনএ এবং আরএনএ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এটি।
ভিটামিন বি১২: এটি স্নায়ুতন্ত্রের সুস্থতা ও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা সঠিক রাখে এবং লোহিত রক্তকণিকা গঠনে সাহায্য করে।
সেলেনিয়াম: সেলেনিয়াম শরীরে খুব কম পরিমাণে প্রয়োজন হয়। এটি প্রোটিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এনজাইম তৈরিতে অংশগ্রহণ করে। এ ছাড়া দেহে কোষ ধ্বংস প্রতিরোধ করে।
নায়াসিন: নায়াসিন দেহে খাবার থেকে শক্তি তৈরি করে। এ ছাড়া স্নায়ুতন্ত্র, পরিপাকতন্ত্র ও ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
* শুঁটকি মাছে কোলেস্টেরল ও সেচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড কম থাকে। তাই এটি হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
* যাঁরা ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য ডায়েট করছেন, তাঁরা প্রোটিনের উৎস হিসেবে শুঁটকি মাছ খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। কারণ এতে ক্যালরি কম থাকে।
* ১০০ গ্রাম শুঁটকি মাছ থেকে প্রায় ৮০ শতাংশ প্রোটিন এবং ৩০০ ক্যালরি পাওয়া যায়। কিন্তু সমপরিমাণ গরুর মাংস থেকে প্রায় দ্বিগুণ ক্যালরি এবং তুলনামূলক কম প্রোটিন পাওয়া যায়।
আমাদের ফেসবুক পেজ : https://www.facebook.com/rukushutkighor?mibextid=ZbWKwL
0 Reviews
Your rating